১৮৫১ সালে ফরাসি বৈজ্ঞানিক ফুকো ৬১ মিটার দৈর্ঘ্যরে এবং প্রায় ২৭ কেজি ভরের ভর বিশিষ্ট এ ধরনের দোলক সর্বপ্রথম প্রদর্শন করেন বলে তাঁর নাম অনুসারে এ দোলকের নামকরণ করা হয়।
এটি একটি সরল দোলক ছাড়া অন্য কিছু নয়, ফলে সরল দোলকের সকল সূত্রই এর উপর প্রযোজ্য।
এ দোলকের বিশেষত্ব হলো এর কার্যকর দৈর্ঘ্য ও ববের ভর দুই অনেক বেশী, বিধায় এটি বাতাসের ঘর্ষণ অতিক্রম করে অনেকক্ষণ দুলতে পারে এবং এর দোলনকাল বেশী বলে পর্যবেক্ষণগত সুবিধাও পাওয়া যায়।
আহ্নিকগতির প্রভাবে দোলকের দোলনতল দোলকটি যে তলে দোলনরত থাকে) একটি পর্যায় গতিতে চলতে থাকে । পৃথিবীর আবর্তন না থাকলে দোলকের দোলনতলে এরূপ আচরণ পরিলক্ষিত হতো না, বলা যায় দোলকটি একই দোলনতলে থেকে দোলনরত থাকত। অর্থাৎ এটি পৃথিবীর নিজের অক্ষের উপর আবর্তনের সুস্পষ্ট প্রমাণের সাক্ষ্য রাখে।
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের দোলনতলের পর্যায় কাল ভিন্ন হয়ে থাকে। কোন স্থানের অক্ষাংশ থেটা হলে,ঐ স্থানের দোলকের দোলনতলের পর্যায় কাল, T=(23hr56min)/sin থেটা
বিজ্ঞান জাদুঘরে অবস্থিত দোলকটির দোলনতলের পরিবর্তন লক্ষ্য করার জন্য দোলকের নিচে কৌণিক দূরত্ব সম্বলিত একটি রেখা চিত্র রাখা হয়েছে।